ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ২৪/০৭/২০২৪ ১০:৫১ পিএম
সেন্টমার্টিন জেটি ঘাট থেকে ছেঁড়াদ্বীপে যাওয়ার অপেক্ষায় ট্রলার।

ঢাকা মেইল::
কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন যাওয়ার পথে বঙ্গোপসাগরের গোলারচর মোহনায় এফবি সাদ্দাম নামের একটি ফিশিং ট্রলার ডুবির ঘটনায় এক ছাত্রলীগ নেতা নিখোঁজ রয়েছে। এ ঘটনায় ১১ জন উদ্ধার হলেও কোস্টগার্ডের চৌকিতে হামলা ও ভাংচুর চালিয়েছে সংক্ষুদ্ধরা। এ ঘটনায় কোস্টগার্ড ফাঁকা গুলি ছুড়েছে।

বুধবার (২৪ জুলাই) রাত ৮টা পর্যন্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি বলে দ্বীপের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।

এর আগে বুধবার দুপুর আড়াইটার দিকে টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন যাওয়ার পথে বঙ্গোপসাগরের গোলারচর মোহনায় এফবি সাদ্দাম নামের একটি ফিশিং ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটে।

সেন্টমার্টিন সার্ভিস বোট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, ৬৫ দিন মাছ ধরায় সরকারি নিষেধাজ্ঞার কারণে সেন্টমার্টিনের সাদ্দাম হোসেনের মালিকাধীন এফবি সাদ্দাম টেকনাফ ঘাটে ছিল। নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পর ট্রলারটি সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে রওনা দেয়। এ সময় ট্রলারটিতে ছয়জন যাত্রী ওঠে। একইসাথে ওই ট্রলারটিতে ছিল ছয় জেলে। ১২ জনের ট্রলারটি দুপুর আড়াইটার দিকে শাহপরীরদ্বীপ অতিক্রম করে বঙ্গোপসাগরের গোলারচর মোহনায় পৌঁছলে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কবলে পড়ে সেটি ডুবে যায়।

সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম জানান, ঘটনার পর পরই সেন্টমার্টিন ঘাট থেকে কয়েকটি ফিশিং ট্রলার, কয়েকটি সার্ভিস বোট যোগে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে। শেষ পর্যন্ত ১১ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হলেও নিখোঁজ রয়েছেন একজন। নিখোঁজ নুর মোহাম্মদ সাগর সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহসভাপতি বলে জানান খোরশেদ আলম।

এদিকে ট্রলার ডুবির পর উদ্ধার তৎপরতার জের ধরে কোস্টগার্ডের সঙ্গে সেন্টমার্টিনবাসীর উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। সেন্টমার্টিন থেকে কয়েকজন বাসিন্দা ও জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, ট্রলার ডুবির পর কোস্টগার্ডকে অবহিত করা হলে তারা উদ্ধার তৎপরতায় সাগরে নামেননি। দ্বীপবাসী সার্ভিস বোট ও ফিশিং ট্রলারে উদ্ধারে যাওয়ার সময় তাদের বাধাও দেন। কিন্তু ১১ জনকে উদ্ধার করে ঘাটে ফিরলে কোস্টগার্ড সদস্যরা তাদের সঙ্গে ছবি তোলার চেষ্টা করে। এতে দ্বীপবাসীর সঙ্গে তাদের উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে উত্তেজিত লোকজন কোস্টগার্ডের চৌকিতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। এ সময় ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে কোস্টগার্ড। এখনও উত্তেজনা বিরাজ করছে বলে জানান তারা।

এ ব্যাপারে কোস্টগার্ডের কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, কোস্টগার্ডের সঙ্গে দ্বীপবাসীর একটি উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছিল। তখন ফাঁকা গুলি বর্ষণ করা হয়েছে। দ্বীপের পুলিশ ঘটনাস্থলের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন।

পাঠকের মতামত

বিটিভি’র “নতুন কুঁড়ি ২০২৫”-এ উখিয়ার তিন শিক্ষার্থীর দুর্দান্ত সাফল্য

মুজিবুর রহমান:: বাংলাদেশ টেলিভিশন ও তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত শিশু-কিশোরদের প্রতিভা অন্বেষণ প্রতিযোগিতা ...

রোহিঙ্গা সংকটযুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য অনুদান কমানোয় বাংলাদেশের ঋণ ৪০০ মিলিয়ন

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের জন্য যুক্তরাষ্ট্র গত বছর অনুদান দিয়েছিল ৩০০ মিলিয়ন ডলার। কিন্তু চলতি ...

সীমান্তবর্তী প্রতিটি স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের সামরিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবো: শাহজাহান চৌধুরী

কক্সবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি, সাবেক সাংসদ ও হুইপ জননেতা শাহজাহান চৌধুরী বলেছেন, ক্লাসে ন্যূনতম ৭০ ...

১ নভেম্বর থেকে খুলছে সেন্টমার্টিন, তবে ডিসেম্বর পর্যন্ত রাত্রিযাপন নিষিদ্ধ

সেন্টমার্টিন দ্বীপ পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হবে আগামী ১ নভেম্বর থেকে। পর্যটন মৌসুম চলবে ফেব্রুয়ারি ...

ঢাকায় রেলক্রসিংয়ে প্রাণ হারালেন কক্সবাজারে উষা বড়ুয়া

রাজধানী ঢাকার মহাখালী রেলক্রসিংয়ে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন কক্সবাজারের রামু উপজেলার মেরংলোয়া গ্রামের উষা বড়ুয়ার ...